নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এর কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম (বার) বলেছেন, ১৪ টি বছর, সময়টা খুব বেশি নয় আবারো কমও নয়। আমরা শৈশব পেরিয়ে কৈশরে পদার্পন করেছি। কৈশরে মধ্যে যে তেজ উদ্দীপ্ত থাকে, যে কর্মস্পৃহা থাকে, যে স্বপ্ন থাকে সেগুলো কিন্তু আমাদের মাঝে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ও বছরগুলোতে পুলিশের সেবার মান বৃদ্ধি করার কল্পে অনেকগুলো জনসম্পৃক্তমূলক কর্মসূচি সারা বাংলাদেশের ন্যায় বরিশালেও আমরা নিয়েছি। বিশেষ করে জনগনকে সম্পৃক্ত করার জন্য যে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সেটাকে নিবিরভাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছি। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরের বান্দরোডস্থ অফিসার্স মেস প্রাঙ্গনে আয়োজিত কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহামারি করোনার সংক্রমনের কারনে সংক্ষিপ্ত আকারের এ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে যে একটা কমিউনিটি আছে, সমাজ আছে। সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, আইন মান্যকারী এবং মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হয়ে ওঠে সেজন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি চলমান আছে। মহামারি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে সেই কর্মসূচি সীমিত আকারে রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের আইজিপি মহোদয় ড. বেনজীর আহমেদ-বিপিএম(বার) এর সুদুর প্রসারী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সর্বোশেষ কমিউনিটি পুলিশিং এর পরিপূরক কর্মসূচি হিসেবে বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে সারাবাংলাদেশের ন্যায় বরিশালেও শক্তিশালী করেছি। বরিশাল মেট্রোপলিটনে মোট ৯৭ টি বিটের কার্যক্রম আমরা চালু করেছি। যারমধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ টি এবং প্রতি ইউনিয়নে ৩ টি করে বিট চালু করা হয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ বিটের অফিস চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওপেন হাউজ ডেসহ বিভিন্ন কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের সভাগুলোতে পুলিশের জবাবদিহীতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কল্পে এবং পুলিশের অনিয়ম-ব্যপ্তয় ও অন্যান্য হয়রানিমূলক কাজকে চিরতরে বন্ধ করার জন্য সরাসরি জনগনের অভিযোগ-অনুযোগগুলো শুনি। সেখানে আমাদের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আমাদের সেবা কার্যক্রমগুলো জনগনের মাঝে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করে। এমনিভাবে নিবির তত্ত্বাবধায়ন, মনিটরিং, সুপারভিশনের মাধ্যমে আমাদের প্রতিটি পুলিশ সদস্য যাতে সঠিকভাবে, সঠিক নিয়মে নির্ভেজাল সেবা জনগনের কাছে পৌছে দিতে পারে সেই প্রচেষ্টা আমরা নিয়েছি। তিনি বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আজকের দিনের যে গ্রহণযোগ্যতা, সেই বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরাও শুনি। তারপরও আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলবো আমরা এতেই সন্তুষ্ট নই। “মুজিবর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার” জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমাদের প্রানান্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা চাই সত্যিকারের জনগনের পুলিশ হতে। একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনে যে ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিরাপদ পরিবেশ দরকার সেটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, পুলিশ হবে জনবান্ধন, জনগনের আস্থার প্রতীক। পুলিশের যে সকল নেতিবাচক দিক রয়েছে, অগ্রহযোগ্যতার দিক থেকে যেসব ফিচার রয়েছে এবং যে সকল অনিয়ম, হয়রানিমুলক কাজ হয় যারজন্য আমাদের সমালোচনার মুখে পরতে হয়, ব্যপ্তয় হয় সেগুলোকে মুছে ফেলতে চাই। সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত নির্ভেজাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কয়েকধাপ এগিয়ে সামনে থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে সেই ব্রত, কমিটমেন্ট আমাদের থাকবে। অনুষ্ঠানে বিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর) আবু রায়হাম মোঃ সালেহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম, অপস্ এন্ড প্রসিকিউশন) মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ মোকতার হোসেন পিপিএম-সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) খাইরুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস) খান মুহাম্মদ আবু নাসের প্রমুখ।
Leave a Reply